চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী

  • Views: 4,675

Description

ত্বক বা চামড়া শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু ত্বকে বিভিন্ন অনুজীব, পরজীব, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে শরীরের ত্বক ও যৌনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সৃষ্টি হয় চর্ম ও যৌন রোগ।

অপরিষ্কার, নোংরা পরিবেশ এবং ঘনবসতির কারণে বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের সৃষ্টি হয়।

আবার অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলে যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগ হয় যা খুব ই মারাত্নক। যৌন রোগগুলো সাধারণত বীর্য, রক্ত দ্বারা একজনের শরীর হতে অন্য একজনের শরীরে যায়। আবার গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর হতে শিশুর শরীরে ও প্রবেশ করে এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

সংক্রামক ও অসংক্রামক চর্ম ও যৌন রোগের পরিচয়
সংক্রামক রোগের মধ্যে আছে দাদ, হার্পিস , স্কাভিস, সিলিফিস, গনোরিয়া, যৌনাঙ্গে আচিঁল ইত্যাদি। আর একজিমা, সোরায়াসিস, ব্রণ ধবল বা শ্বেত সহ আরো অনেক চর্মরোগ রয়েছে যা অসংক্রামক।

প্রখ্যাত একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশে চর্ম রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনা মূলক বেশি এবং বর্তমানে প্রায় ৪ হাজারের বেশি চর্ম রোগ রয়েছে। আজ আমরা এই নিবন্ধে কি কি ধরনের চর্ম ও যৌন রোগ রয়েছে , তার লক্ষণ ও সমাধান সম্পর্কে জানবো।

একজিমাঃ যারা কৃষিকাজ করেন বা রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে থাকেন তাদের এই একজমা টা বেশি হয়ে থাকে। এটি ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট এবং ত্বকের প্রদাহ সৃষ্টি করে। এছাড়া ত্বক খসখসে, ত্বক ফেটে যাওয়া ও ফুস্কড়ি হয়ে থাকে। এটি সংক্রামক নয়। নবজাতকের ও এই একজিমা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে তা বংশগত হিসেবে বলা হয়। অনেক এলাকায় এটাকে বিখাউজ বলে। এটি খুব দীর্ঘমেয়াদি রোগ।
সোরিয়াসিসঃ অনেকেই বলে থাকেন এটি চর্মরোগের যাবতীয় রোগের মধ্যে এটি ভয়ানক। এটি একটি জীবাণুর আক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে বিশেষ করে সূর্যালোকে। সোরিয়াসিস লাল দানাদার, মাছের আশটের মত, গোলাকার হয়ে থাকে এবং প্রচুর চুলকায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাটু, কনুই, কানের পিছনে আবার সমস্ত শরীরে এটি হয়ে থাকে। সোরিয়াসিসের কারণ হিসেবে জেনেটিক্যালি ধরা হয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ।
শ্বেত রোগঃ এটা ছোঁয়াচে বা প্রাণঘাতি নয়। ত্বকের মেলানোসাইট নামক কোষগুলো কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে এই রোগ হয়। শ্বেত রোগের সঠিক কারণ জানা যায় নি। এই রাগে আক্রান্ত ব্যক্তির স্থানে স্থানে ছোপ ছোপ সাদা হয়ে যায়। অনেক সময় তা সারা শরীর জুড়ে ই থাকে।
হার্পিস সিম্পেক্সঃ এটি হার্পিস ভাইরাসের কারণেহয়ে থাকে। মুখে হলে অনেক সময় জ্বর ঠোসা ও বলা হয়। আক্রান্ত জায়গায় গুটি হয় এবং পরে তা থেকে রস নির্গত হয়, পরে ঘা এর মতো হয়ে যায়। হার্পিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট আরেকটি রোগ হলো জেনিটাল হার্পিস। এটা যোনাঙ্গে বা মলদ্বারের আশে পাশে হয়। যৌনাঙ্গে হার্পিস থাকলে তা ফুসকুড়ির মত হলে পরে তা ফোঁড়ায় রুপ নিতে পারে।
দাদঃ ফাঙাস বা ছত্রাকের আক্রমণে এটি হয়ে থাকে। শরীরের যে কোন জায়গায় চাকা চাকা র‍্যাশের মত হয়ে যায় এবং চুলকায়। এটি পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথায় পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। দাদ প্রচন্ড সংক্রামক।
স্ক্যাবিসঃ স্ক্যাবিস জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট এবং রোগীর ব্যবহৃত জিনিস দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি শিশুদেরও হয়ে থাকে। র‍্যাশের মত হয়ে যায় এবং প্রচুর চুলকায়, রাতের বেলা চুলকানি তীব্র হয়।
গনোরিয়াঃ এটি ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া সহ হলুদ বা সাদা স্রাব হতে পারে। মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হয়। নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হলে সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।
সিফিলিসঃ সিফিলিস ব্যাক্টেরিয়া দ্বরা সৃষ্ট প্রাচীন রোগের অন্যতম। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির সারা শরীর সহ যৌনাঙ্গে বা মলদ্বারে ঘা হয়। এর কারণে রোগীর মৃত্যু ও হতে পারে।
যৌনাঙ্গে আচিলঃ এটা পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষত্রে বেশি দেখা যায়। এটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট এবং জননাঙ্গের আশে পাশে আচিল দেখাযায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে ব্যথা, চুলকানি ও অস্বস্তি হয়। এটি সংক্রামক রোগের একটি।
ট্রাইকোমো নিয়াসিসঃ এটা একটি যৌন বাহিত রোগ এবং পরজীবি সংক্রমণে হয়ে থাকে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির যোনিপথে চুলকানি, দুর্গন্ধ, অস্বস্তি, হলদে স্রাব, মিলনের পর ব্যথা অনুভব হয়। এটা অনিরাপদ যৌন মিলনের পর হয়ে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে এইডসে পরিণত হয়।

রাজশাহীর যেকোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তথ্য, সিরিয়াল ও আমাদের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন : ০১৭৬৬-০৮৬৭১৬
                                                                                                                     সিরিয়ালের জন্য কল করুন: ০১৩২৬-৬৩৩১৬০

Map View

Location

Rajshahi

Rating

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী”